আকাশে হঠাৎ করে বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে কি ঘটবে
- Update Time : 10:19:06 pm, Saturday, 14 December 2024 36 Counter
সাধারণত রাস্তায় বাস, ট্রেন কিংবা যেকোনো ধরনের গাড়ির জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে স্টেশন থেকে পুনরায় জ্বালানি ভরে নেওয়া হয়। এর জন্য রাস্তার কিছু দূরত্ব পর করে থাকে পেট্রল স্টেশন, গ্যাস স্টেশন ইত্যাদি। কিন্তু আকাশে উড়ন্ত অবস্থায় যদি বিমানের জ্বালানি বা তেল ফুরিয়ে যায় তখন কি করবে?
প্রথমে একটি বিষয় জানিয়ে রাখি, একটি বিমান যখন এয়ারপোর্ট থেকে উড্ডয়ন করে তখন জ্বালানির সহ প্রয়োজনীয় বস্তু গুলো ভরে নেওয়া হয়। তার গন্তব্যস্থল ঠিক কতটুকু দূরে অবস্থিত সেই হিসেবে কতটুকু জ্বালানি প্রয়োজন তার থেকে অনেক বেশিই জ্বালানি গ্রহণ করেই বিমান টেক অফ করে। তাই আকাশের চলার সময় মাঝ পেতে জানলা নিয়ে ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
তবে আপনাদের বোঝার সুবিধার জন্য ধরে নিলাম মাঝ পথে জ্বালানি ফুরিয়ে গেছে। সে ক্ষেত্রে চিন্তার কোন কিছুই নেই। এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠান এবং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে এমন সকল ব্যবস্থা রয়েছে যার মাধ্যমে পুনরায় জ্বালানি পূর্ণ করা সম্ভব। এক্ষেত্রে অপর একটি বিমানের সাহায্যে পুনরায় মাঝাকাশে রিফুয়েলিং করা সম্ভব। বিভিন্ন ধরনের জরুরী পরিস্থিতিতে এই প্রক্রিয়ায় কাজ চালানো হয়।
আকাশে হঠাৎ করে বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে গেলে কি ঘটবে
এখানে আরো একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ যে মাঝাকাশে বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে গেলেও সেটি আকাশে অনেক সময় ভেসে থাকতে পারে। এমনকি কোনরকম তেল ছাড়াই শুধুমাত্র গ্লাইডিং করে নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম। মাঝ আকাশে তেল ফুরিয়ে গেলে সেটা সরাসরি আবার মাটিতে পড়বে বাস্তবে এমনটা ঘটে না।
এখন আপনাদের সাথে আমি আরো একটি বিষয় উপস্থাপন করি। ধরুন বিমানে জ্বালানি তেল ঠিকই আছে কিন্তু কোন কারনে সকল ইঞ্জিন গুলো বিকল হয়ে গেল। সে ক্ষেত্রে অতি অল্প কোন কাজে আসলো না। এমনকি যথা সময়ে মেরামত করা সম্ভব হলো না। এক্ষেত্রেও আকাশে ভেসে ভেসে সুন্দরভাবে গ্লাইডিং করে বিমান টিকে ল্যান্ড করানো সম্ভব।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে একটি কাগজের প্লেন আপনি যখন আকাশের দিকে ছুড়ে মারেন তখন সেটা সরাসরি নিচের দিকে নামেনা। বাতাসের সাথে ঘর্ষণের ফলে ভেসে ভেসে আস্তে আস্তে সেটি মাটিতে পতিত হয়। একজন দক্ষ পাইলট কোন ধরনের ইঞ্জিনের সহায়তা ছাড়া বিমানটিকে এভাবে ল্যান্ড করাতে পারে। তবে এর জন্য পাইলটকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে।
আবার যদি আশেপাশে কোন এয়ারপোর্ট না থাকে তাহলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পাইলটরা অবতরণ করানোর জন্য জলাশয়, সমুদ্র ইত্যাদি বেছে নেয়। এক্ষেত্রে ক্ষয় ক্ষতির পরিমাণ সবচাইতে কম হয়। এমনকি যাত্রীদেরও তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। আর মাটিতে অবতরণ করানোর সাথে সাথেই উদ্ধারকারীরা প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
তাই বলা যায় আজ আকাশে যদি কখনো বিমানের জ্বালানি ফুরিয়ে যায় তাহলে যাত্রীসহ সেটিকে নিরাপদে মাটিতে নিরাপদে অবতরণ করানো সম্ভব।