শীতের দিনে গিজার ব্যবহারে যে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত

Reporter
  • Update Time : 09:07:32 am, Monday, 16 December 2024 29 Counter

গিজার ব্যবহারে যে সাবধানতা

Latest News গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাসা বাড়িতে আমরা গরম পানি পাওয়ার জন্য গিজার ব্যবহার করে থাকি। এতে করে ঠান্ডা পানির হাত থেকে রেহাই মেলে। তবে এধরনের যন্ত্র ব্যবহারে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাইতো গিজার ব্যবহারে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় এর সম্পর্কে খুঁটিনাটির বিষয় সম্পর্কে জানা থাকা প্রয়োজন। যাতে করে হঠাৎ যে সমস্যায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারেন।

ঠিকমতো মেরামত এবং কোন যন্ত্রিক ত্রুটির কারণে গিজার থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়। যার মধ্যে রয়েছে এটি ফেটে যায় গিজারে আগুন ধরে যায় ইত্যাদি। তবে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনায় প্রতিরোধে আগে থেকেই সচেতনামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাখা প্রয়োজন।

শীতের দিনে গিজার ব্যবহারে যে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একটি গির্জারের ভেতরে তাপমাত্রা যখন অনেক বেশি বেড়ে যায় এবং চাপ বৃদ্ধি পায় তখন এটি ফেটে যেতে পারে। এই ধরনের ঘটনা তখনই ঘটে যখন অনেকক্ষণ ধরে কিছু একটা চালু থাকে অথবা সুইচ অন করা থাকে। এর ফলে ভিতরে থাকে তাপমাত্রা বাড়ে এবং থার্মোস্টাইন সিস্টেমটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

তাই দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য আপনি যখন গিজার ব্যবহার করবেন না তখন সেটি বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। আর গিজার ফেটে থাকার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সেটি সহনীয় তাপমাত্রায় রাখা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলে থেকে সাধারণত ৫৫ থেকে ৬০ সেন্টিগ্রেটের মধ্যেও তাপমাত্রা রাখায় সবচাইতে নিরাপদ। এতে করে গিজার ফেটে যায় যে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনার করার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।

শীতের দিনের প্রয়োজনীয় এই যন্ত্রটির ভালো রাখার আরো একটি অন্যতম উপায় হচ্ছে ভালব পরীক্ষা করা। প্রতিটি গিজারেই একটি ভালব থাকে যেটি মাধ্যমে যন্ত্রটিকে চাপ মুক্ত রাখা হয়। নিয়মিত এই ভাবটি পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী। কারণ যন্ত্রটির অভ্যন্তরীণ প্রেশার তখনই বৃদ্ধি পায় যখন বাড়বে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকে। আর যদি কোন কারণে ভালব ঠিক না মনে হয় তাহলে এটি দ্রুত পাল্টিয়ে ফেলুন।

গিজারের লিকেজ সমস্যা

অনেক সময় এটিতে গ্যাস লিক হয়েও বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তাই নিয়মিত এটির লিকেজ পরীক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ।

তবে আপনি বাথরুমে যাওয়ার পরে যদি অনেকটা পচা ডিমের মতো গন্ধ পেয়ে থাকেন তাহলে ধরে নিতে পারেন গিজারের গ্যাস ফুটো হয়ে গিয়েছে। সাথে সাথেই যন্ত্রটি বন্ধ করুন এবং চেষ্টা করুন ভালো কোন টেকনিশিয়ান থেকে সার্ভিস করানোর জন্য। এই ধরনের পরিস্থিতিতে কখনোই পুনরায় গিজার চালু করা উচিত নয়।

সেই সাথে এটি এমন জায়গা রাখা উচিত যাতে করে বাসায় শিশুরা স্পর্শ করতে না পারে।

গিজার ব্যবহারে অন্যান্য সচেতনতা

আপনি যেই ওয়াশরুমে এই যন্ত্রটি লাগাবেন সেটিতে অবশ্যই একটি এক্সজাস্ট ফ্যান থাকা প্রয়োজন। যে গ্যাস গুলি যন্ত্রটি হতে বের হয় সেগুলো যেন সাথে সাথেই এই ফ্যানের মাধ্যমে বাইরে চলে যেতে পারে। কারন এই গ্যাস গুলি মানুষের শরীরের জন্য ভালো নয়।

মূলত এই যন্ত্রটি তৈরি করা হয় বিউটেন এবং প্রোপেন নামের গ্যাস দিয়ে যা পরবর্তীতে উৎপন্ন করে কার্বন ডাই অক্সাইড। আর আপনি নিশ্চয়ই জানেন কার্বনডাই-অক্সাইড আমরা গ্রহন করতে পারি না এবং আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বাধা তৈরি করে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ রচনা জানতে এখানে প্রবেশ করুন।

share News

Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Text

শীতের দিনে গিজার ব্যবহারে যে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত

Update Time : 09:07:32 am, Monday, 16 December 2024

বাসা বাড়িতে আমরা গরম পানি পাওয়ার জন্য গিজার ব্যবহার করে থাকি। এতে করে ঠান্ডা পানির হাত থেকে রেহাই মেলে। তবে এধরনের যন্ত্র ব্যবহারে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাইতো গিজার ব্যবহারে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় এর সম্পর্কে খুঁটিনাটির বিষয় সম্পর্কে জানা থাকা প্রয়োজন। যাতে করে হঠাৎ যে সমস্যায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারেন।

ঠিকমতো মেরামত এবং কোন যন্ত্রিক ত্রুটির কারণে গিজার থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার খবর শোনা যায়। যার মধ্যে রয়েছে এটি ফেটে যায় গিজারে আগুন ধরে যায় ইত্যাদি। তবে যে কোন ধরনের দুর্ঘটনায় প্রতিরোধে আগে থেকেই সচেতনামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাখা প্রয়োজন।

শীতের দিনে গিজার ব্যবহারে যে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত

বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একটি গির্জারের ভেতরে তাপমাত্রা যখন অনেক বেশি বেড়ে যায় এবং চাপ বৃদ্ধি পায় তখন এটি ফেটে যেতে পারে। এই ধরনের ঘটনা তখনই ঘটে যখন অনেকক্ষণ ধরে কিছু একটা চালু থাকে অথবা সুইচ অন করা থাকে। এর ফলে ভিতরে থাকে তাপমাত্রা বাড়ে এবং থার্মোস্টাইন সিস্টেমটি কাজ করা বন্ধ করে দেয়।

তাই দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য আপনি যখন গিজার ব্যবহার করবেন না তখন সেটি বন্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করুন। আর গিজার ফেটে থাকার হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সেটি সহনীয় তাপমাত্রায় রাখা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা বলে থেকে সাধারণত ৫৫ থেকে ৬০ সেন্টিগ্রেটের মধ্যেও তাপমাত্রা রাখায় সবচাইতে নিরাপদ। এতে করে গিজার ফেটে যায় যে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনার করার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।

শীতের দিনের প্রয়োজনীয় এই যন্ত্রটির ভালো রাখার আরো একটি অন্যতম উপায় হচ্ছে ভালব পরীক্ষা করা। প্রতিটি গিজারেই একটি ভালব থাকে যেটি মাধ্যমে যন্ত্রটিকে চাপ মুক্ত রাখা হয়। নিয়মিত এই ভাবটি পরীক্ষা করা অত্যন্ত জরুরী। কারণ যন্ত্রটির অভ্যন্তরীণ প্রেশার তখনই বৃদ্ধি পায় যখন বাড়বে যান্ত্রিক ত্রুটি থাকে। আর যদি কোন কারণে ভালব ঠিক না মনে হয় তাহলে এটি দ্রুত পাল্টিয়ে ফেলুন।

গিজারের লিকেজ সমস্যা

অনেক সময় এটিতে গ্যাস লিক হয়েও বিপদজনক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। তাই নিয়মিত এটির লিকেজ পরীক্ষা করাও গুরুত্বপূর্ণ।

তবে আপনি বাথরুমে যাওয়ার পরে যদি অনেকটা পচা ডিমের মতো গন্ধ পেয়ে থাকেন তাহলে ধরে নিতে পারেন গিজারের গ্যাস ফুটো হয়ে গিয়েছে। সাথে সাথেই যন্ত্রটি বন্ধ করুন এবং চেষ্টা করুন ভালো কোন টেকনিশিয়ান থেকে সার্ভিস করানোর জন্য। এই ধরনের পরিস্থিতিতে কখনোই পুনরায় গিজার চালু করা উচিত নয়।

সেই সাথে এটি এমন জায়গা রাখা উচিত যাতে করে বাসায় শিশুরা স্পর্শ করতে না পারে।

গিজার ব্যবহারে অন্যান্য সচেতনতা

আপনি যেই ওয়াশরুমে এই যন্ত্রটি লাগাবেন সেটিতে অবশ্যই একটি এক্সজাস্ট ফ্যান থাকা প্রয়োজন। যে গ্যাস গুলি যন্ত্রটি হতে বের হয় সেগুলো যেন সাথে সাথেই এই ফ্যানের মাধ্যমে বাইরে চলে যেতে পারে। কারন এই গ্যাস গুলি মানুষের শরীরের জন্য ভালো নয়।

মূলত এই যন্ত্রটি তৈরি করা হয় বিউটেন এবং প্রোপেন নামের গ্যাস দিয়ে যা পরবর্তীতে উৎপন্ন করে কার্বন ডাই অক্সাইড। আর আপনি নিশ্চয়ই জানেন কার্বনডাই-অক্সাইড আমরা গ্রহন করতে পারি না এবং আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বাধা তৈরি করে।

জাতীয় স্মৃতিসৌধ রচনা জানতে এখানে প্রবেশ করুন।