বিমান ভ্রমণের সময় মোবাইলে কেন ফ্লাইট মোড চালু রাখতে বলা হয়
- Update Time : 05:14:01 pm, Sunday, 15 December 2024 38 Counter
বাস, প্রাইভেট কার, ট্রেন ইত্যাদি যানবাহনের চাইতে বিমানে যাতায়াত করার সময় বেশি নিয়ম কানুন মানতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে বিমান ভ্রমণের সময় মোবাইল ফ্লাইট মোডে রাখতে হয়। কিন্তু কেন এমনটা করতে বলা হয় তা হয়তোবা অনেকেরই অজানা।
আপনি যখন ভ্রমণ করার জন্য অ্যারোপ্লেনে উঠবে তখন উঠবেন তখনই বিমান সেবিকারা মোবাইলটি ফ্লাইট মোডে করার ঘোষণা দিয়ে দিবেন। আর কোন মোবাইল ফোন যখন ফ্লাইট মোড সার্ভিস টা চালু করা হয় তখন সেটি নেটওয়ার্ক সংযোগ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কথা বলা, মেসেজ আদান প্রদান করা, ইন্টারনেট চালানো কোন কিছুই তখন সম্ভব হয় না।
আর যদি কোন যাত্রী মোবাইলের নেটওয়ার্ক চালু করে রাখেন অর্থাৎ ফ্লাইট মোড না করেন তাহলে পাইলটরা বিমান চালাতে বেশ দুর্ভোগে পড়েন। এর কারণ হচ্ছে ফ্লাইটের সময় মোবাইলের নেটওয়ার্ক বা সিগনাল বিমানের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্থ করে।
পাইলটরা যখন বিমান চালিয়ে থাকেন তখন সবসময়ই রাডার এবং কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ করতে হয়। আর তখন মোবাইলের নেটওয়ার্ক এ সকল রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে তথ্য গুলো আসতে বাধা প্রদান করে। এমনকি এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বিভ্রান্ত হয়ে যেতে পারে।
বিমান ভ্রমণের সময় মোবাইলে কেন ফ্লাইট মোড চালু রাখতে বলা হয়
মোবাইলে নেটওয়ার্ক চালু থাকলে ফ্রিকোয়েন্সি গুলি অন্যান্য স্থানের সাথে যোগাযোগ বা সংযোগ করতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে বিমানের সাথে কন্ট্রোল রুমের যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়েও যেতে পারে। তাই বিমানে ওঠার সাথে সাথে মোবাইলে ফ্লাইট মোড চালু করা অত্যন্ত জরুরী।
আবার আপনি যখন ভ্রমণের জন্য বের হবেন তখন মোবাইলে চার্জ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিমানে বসে অযথা মোবাইল ব্যবহার করলে চার্জও তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে যাবে। তাই বিমান ভ্রমণের সময় ফ্লাইট মোড চালু করে রাখলে আপনারও চার্জ অনেক সাশ্রয় হবে।
আপনি নিশ্চয় জানেন স্মার্ট ফোন কিংবা যেকোনো ধরনের ফোনে যখন এই সার্ভিসটা চালু করবেন তখন সবার আগে সকল ধরনের ডাউনলোড আপডেট ইত্যাদি বন্ধ হয়ে যাবে। যার কারণে ফ্লাইট মোডে রেখে চার্জার দিলে অনেক দ্রুত চার্জ হয় স্মার্টফোনের ব্যাটারি। এমনকি যতক্ষণ এই ফিচারটি চালু থাকবে ততক্ষণ বিভিন্ন ধরনের মেসেজ নোটিফিকেশন বিজ্ঞপ্তি ইত্যাদি থেকেও আপনি দূরে থাকতে পারবেন।
উল্লেখ্য ১৯২০ সালের পর থেকে নিরাপদভাবে বিমান চলাচলের জন্য এই ধারাবাহিকতা বাড়ানো হয়েছে। কারণ আজ থেকে প্রায় ৬০ কিংবা ৭০ বছর আগে উড্ডয়নের কিংবা এরোপ্লেনে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতো তার থেকে বর্তমান প্রযুক্তি অনেকটাই উন্নত হয়েছে।