ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ইলন মাস্ক ৪০০ বিলিয়ন ডলারের মালিক
- Update Time : 07:40:44 pm, Thursday, 12 December 2024 43 Counter
বিশ্ব অর্থনীতিতে এক নতুন মাইল ফলক তৈরি করেছেন ইলন মাস্ক। ব্লুম বার্গের একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে বলা হয়েছে ইতিহাসের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে তিনি ৪০ হাজার কোটি বা ৪০০ বিলিয়ন সম্পদের মালিক হয়েছেন। তার এই সম্পদ অর্জনের পেছনে সবচাইতে বড় ভূমিকা পালন করেছে টেসলা কোম্পানি এবং স্পেস এক্স।
বিশ্ব বিখ্যাত ম্যাগাজিন ফোর্বসের একটি আলাদা হিসাব মতে ইলন মাস্কের বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৮০ কোটি ডলার। সারা পৃথিবী জুড়ে ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় ইলন মাস্কের পরে রয়েছে যজেফ বেজোস যিনি amazon এর প্রতিষ্ঠাতা। জেফ বেজোসের মোট সম্পদের পরিমাণ বর্তমানে প্রায় ২ হাজার ৪৪০ কোটি ডলার। এরপরে অবস্থানই রয়েছেন ওরাকলের প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি এলিসের। বর্তমান হিসেবে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২ হাজার ৩০ কোটি ডলার।
ইলন মাস্কের সম্পদ বৃদ্ধির কারণ কি
বিশ্ব বিখ্যাত যত ধনী ব্যক্তি রয়েছেন তাদের মধ্যে বেশ আলোচনায় থাকেন মাস্ক। তার এই সম্পদ বিত্রের কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা উল্লেখযোগ্য হবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছেন টেসলার শেয়ার মূল্যে অর্ধপতি। বিগত কয়েক মাস ধরেই টেক কোম্পানি টেসলা শেয়ারের উর্ধ্বমুখী হয়েছে।
বর্তমানে টেসলা বাজার মূল্য প্রায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৫০০ ডলার। এটি ট্রিলিয়নের ঘর পার হয়েছে।
তার আরও একটি প্রতিষ্ঠান স্পেস এক্সের সাম্প্রতিক বাজার মূল্য পৌঁছেছে ৩৫ হাজার কোটি ডলারে। এক্ষেত্রে মাস্কের ৪২ শতাংশ শেয়ার বৃদ্ধির কারণে তার মোট সম্পদের বৃদ্ধি ও ঘটেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এমনকি তার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআই এর বাজার মূল্যও বর্তমানে দ্বিগুন হয়েছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি ভ্যালুয়েশন হচ্ছে ৫ হাজার কোটি ডলার।
১৯৭১ সালে ইলন মাস্ক জন্মগ্রহণ করেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটেরিওতে। তার মা একজন মডেল এবং ডায়েটিশিয়ান ছিলেন। বিশ্ব বিখ্যাত এই ধনী ব্যক্তির বাবা হলেন আফ্রিকার একজন ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ার, বৈমানিক, নাবিক এবং একইসাথে বিজনেসের ক্ষেত্রেও ছিল তার বড় আগ্রহ।
১৯৮০ সালে বাবা মায়ের মধ্যে সম্পর্ক বিচ্ছেদের হওয়ার পর থেকে প্রিটোরিয়া শহরে বসবাস করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বাবার সাথে থাকার জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন এবং পরে অবশ্যই এর জন্য আফসোস করেছিলেন।
শৈশবকাল হতে ইলন মাস্ক বই পড়তে অত্যন্ত ভালবাসতেন। তারপর মাত্র দশ বছর বয়সে কমোডোর ভিআইসি কম্পিউটারটি চালাতে গিয়ে তার প্রযুক্তির প্রতি ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়। তারপর থেকেই তিনি কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি বেসিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ব্যবহার করে ব্লাস্টার নামে একটি গেমও তৈরি করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এই গেমটি ৫০০ ডলারে একটি টেকনোলজি ম্যাগাজিনের কাছে বিক্রি করে দেন।